ওজন কমাতে রাতে মেনে চলুন এই ডায়েট চার্ট! ফল পাবেন এতে কোন সন্দেহ নেই ।
এখানে কিছু ওজন কমানোর টিপস রয়েছে যা আপনাকে আপনার যাত্রায় সাহায্য করতে পারে। বাস্তবসম্মত লক্ষ্য সেট করুন এবং পথে অগ্রগতি উদযাপন করুন। আপনার ক্যালোরি গ্রহণ দেখুন এবং অংশের আকার মনে রাখবেন। ক্যালোরি পোড়াতে এবং আপনার লক্ষ্য অর্জন করতে আপনার রুটিনে নিয়মিত ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনার ওজন কমানোর প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য প্রচুর ঘুম পান এবং হাইড্রেটেড থাকুন। মনে রাখবেন যে ওজন হ্রাস একটি যাত্রা যার জন্য প্রতিশ্রুতি এবং ধৈর্যের প্রয়োজন, কিন্তু এই টিপসগুলির সাহায্যে, আপনি আপনার লক্ষ্যগুলির দিকে অবিচলিত অগ্রগতি করতে পারেন।
|
ওজন কমাতে রাতে মেনে চলুন এই ডায়েট চার্ট! ফল পাবেন। |
হাইলাইটসঃ
সন্ধ্যেবেলার স্ন্যাক্সে বেশিরভাগ মানুষই তেলেভাজা জাতীয় খাবার খান।
যা একেবারেই স্বাস্থ্যউপযেগী নয় এবং সেইসঙ্গে পেটের পক্ষেও ভালো নয়।
আর তাই ওজন কমাতে চাইলে রাতের খাবারও খেতে হবে সময় এবং নিয়ম মেনে।
এই সময় জীবনযাপন ডেস্ক: শরীর সুস্থ রাখতে আমাদের ঠিকঠাক ঘুম এবং সুষম আহার প্রয়োজন। খাওয়া দাওয়ায় সমস্যা হলে যেমন শরীর খারাপ করে তেমনই ওজন বাড়ে। খাবার হজম না হলেই গ্যাস, অম্বল এসব হবে। আর এসব থেকে পেট ফেঁপে গিয়ে ওজন বাড়ে। ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ফ্যাট জমে পেটে। সবার আগে ওখানেই চোখ পড়ে। আর ভুঁড়ি হল যাবতীয় রোগের উৎস। অনেকেই ভাবেন না খেয়ে থাকলে ওজন কমবে। কিন্তু অনেকটা সময় না খেয়ে থাকলেই পেটে গ্যাস জমে।
আবার এরকমও অনেক মানুষ আছেন যাঁরা ইভিনিং স্ন্যাক্স আর ডিনারের মধ্যিখানের এই সময়ে পরিমাণে বেশি খাবার খেয়ে ভাবেন রাতে আর কিছু খাবেন না। আর সন্ধ্যেবেলার স্ন্যাক্সে বেশিরভাগ মানুষই তেলেভাজা জাতীয় খাবার খান। যা একেবারেই স্বাস্থ্যউপযেগী নয় এবং সেইসঙ্গে পেটের পক্ষেও ভালো নয়। আর তাই ওজন কমাতে চাইলে রাতের খাবারও খেতে হবে সময় এবং নিয়ম মেনে। দীর্ঘ ৮ থেকে ১০ ঘন্টা খালি পেটে থাকলে শরীর ভেতর থেকে ভাঙতে শুরু করে। এতে ওজন না কমে বরং বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। রাতে একদম কিছু না খাওয়ার পরিবর্তে মেনে চলুন এই ডায়েট চার্ট। ওজন কমবেই।
|
যাঁদের রুটি বা গমের তৈরি খাবার সহ্য হয় না তাঁরা যা খাবেন |
যাঁদের রুটি বা গমের তৈরি খাবার সহ্য হয় না তাঁরা যা খাবেন
ভাত- একদম মেপে এক কাপ, কিছুতেই তার থেকে বেশি নয়।
মাছ/ মাংস- ১ পিস
সবজি- তেল ছাড়া সবজি সেদ্ধ এক বাটি। প্রয়োজনে চলতে পারে একটু বাটার আর গোলমরিচ।
স্যালাড- কাঁচা সবজি আর মেয়োনিজের স্যালাড বানালে আর অন্য কিছু খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
ডাল- ওজন কমাতে অবশ্যই মেনুতে রাখুন ডাল। এছাড়াও ডালের পুষ্টিমূল্য অনেক বেশি।
|
যাঁরা রুটি খেতে পছন্দ করেন |
যাঁরা রুটি খেতে পছন্দ করেন
অনেকেই আছেন দুবেলা রুটি খান, বার অনেকেই আছেন সারা বছর রাতে রুটি খান।
একদম পাতলা দুটো আটার রুটি খান। তার বেশি নয়। এমনকী ময়দার রুটিও খাবেন না। রুটির বদলে পাঁউরুটিও নয়। একবাটি সবজি সেদ্ধ ।
ডিমের সাদা অংশ। একটা ডিম সেদ্ধ করুন। এবার সন্ধ্যায় কুসুম ছাড়া অর্ধেক খান। রাতে বাকি সাদা অংশ। কিংবা এক পিস মাছ বা মাংস।
আরও পড়ুন: কেন শীতেই বাড়ে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা? জানুন ঘরোয়া প্রতিকার!
ওজন কমাতে ফল খেতেই হবে। প্রতিদিন একবাটি পেঁপে/ আপেল/ নাসপাতি অবশ্যই রাখুন মেনুতে।
সবচেয়ে তাড়াতাড়ি ওজন কমবে যদি এই ডায়েট চার্ট ফলো করেন। এই ডায়েটে শরীর সুস্থ থাকবে সেই সঙ্গে দ্রুত ওজনও কমবে।
|
কেন শীতেই বাড়ে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা? জানুন ঘরোয়া প্রতিকার! |
চিনি ছাড়া এবং বেশি ফাইবার যুক্ত কর্নফ্লেক্স হাফ কাপ। এবার মাখন তোলা দুধের সঙ্গে ওই কর্নফ্লেক্স মিশিয়ে খান। যদি চিনি ছাড়া একান্তই না খেতে পারেন তাহলে সামান্য মধু যোগ করতে পারেন। তবে কর্নফ্লেক্সের সঙ্গে সবসময় গরম দুধ খাবেন। সঙ্গে খেতে পারেন তিনটে আমন্ড। তবে যদি কোলেস্টেরল থাকে তাহলে আমন্ড খাবেন না।
ওজন কমানোর জন্য বাংলা ডায়েট প্ল্যান
মেদ ভুড়ি কমানো বা ওজন নিয়ন্ত্রণের সঠিক উপায় আসলে ভালো খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা। চলুন আমরা একটি ডায়েট প্ল্যান দেখি যা দীর্ঘ মেয়াদে ওজন কমিয়ে মেদ-ভুড়ি দুর করবে। এই প্ল্যানটি অনুসরন করা খুবই সহজ হবে এবং এটি সেভাবেই প্রস্তুত করা হয়েছে। এই প্ল্যানটি অনুসরন করলে আপনার ক্ষুধাও মিটবে ওজনও কমবে কিন্তু এটি আপনাকে দৗর্ঘমেয়াদে অভ্যাস করতে হবে । আগেই বলেছি ওজন ভাল খাদ্যাভ্যাসের কোন বিকল্প নেই। আর একটি বিষয় চটকদার বা ম্যাজিক্যাল কোন ফর্মুলায় বিশ্বাস করবেন না। ওগুলো স্বল্প মেয়াদে কিছু কাজ করলেও কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারবেন ওগুলো আসলে ভুয়া ।
|
ওজন কমানোর জন্য বাংলা ডায়েট প্ল্যান |
সকাল ৭টা ঘুম থেকে উঠেই :
এক চামচ খাটি মধু ও এক ফালি লেবু মেশানো হালকা কুসুম গরম পানি এক গ্লাস। এটা খেয়েই স্বাভাবিক কাজকর্ম বা ব্যায়াম করতে পারেন।
সকাল ৮টা ব্রেকফাস্ট বা নাস্তা:
এক প্লেট ভাত অথবা দুটি ছোট সাইজ রুটি । এবং সবজি এক বাটি এবং একটি ডিম একটি আপেল বা কলা বা এজাতীয় ফল। খেয়াল করুন রাতে রুটি খেলে সকালে ভাত খাবেন। রাতে ভাত খেলে সকালে রুটি খাবেন। সবজি হিসেবে যদি লাউ বা পেপে বা চালকুমড়া নেন তাহলে সবজি একটু বেশী খেলে সমস্যা নেই। ছিম বা ঢেড়স বা বরবটি জাতীয় সবজি এক বাটি খেতে পারেন কিন্তু সবজি আলু দিয়ে রান্না না করলে ভাল হয়।
নাস্তা হিসেবে বাড়িতে বানানো সবজি রোল বা এক স্লাইস পাউরুটি বা কম ক্যালরি সমৃদ্ধ টোস্ট যদি পাওয়া যায় বা হালকা কিছু খেয়ে নিন। সাথে অবশ্যই এক কাপ গ্রিন টি বা সবুজ চা। ফাস্ট ফুড বা মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার বর্জনীয়।
১ বা দেড় প্লেট ভাত ২ টুকরা মাছের ঝোল অথবা মুরগীর মাংস(চিকেন হলে ভাল হয় চর্বি বিহীন অন্য মাংসও খাওয়া যায়)। সাথে অড়হর বা মুগ ডাল । সাথে সালাদ এক বাটি অথবা একটি শসা বা গাজর । সবজি ভাজি আধা বাটি। খাবার আস্তে আস্তে ভাল করে চিবিয়ে খান। সময় নিয়ে খান।
বিকাল ৪টা ৩০ হালকা নাস্তা
সবজি দিয়ে বানানো নাস্তা বা অল্প একটু মুড়ি বা চিড়া বা খই । সাথে অবশ্যই টক দই ও কলা দিয়ে বানানো লাচ্ছি।(লাচ্ছিতে চিনি দেয়া যাবেনা হালকা গুল মরিচের গুড়া দেয়া যেতে পারে। লাচ্ছি হিসেবে না খেলেও টক দই খেতে হবে এক্ষেত্রে চিড়া দিয়ে খেতে পারেন।
রাত :৮ টা ডিনার বা নেশভোজ
১ প্লেট ভাত বা ১ টা রুটি সাথে অবশ্যই শাক ভাজি বা ঝোল। পুইশাক বা পালংশাক বা লালশাক এগুলো সবচেয়ে ভালো। মাছ খেতে পারেন ২ টুকরো । হালকা সবজির ঝোল পাতে নিতে পারেন।
খেয়াল করুন কয়েকটি টিপস।
প্রথমত মাংসের চেয়ে মাছের অগ্রাধিকার বেশী।
দ্বিতীয়ত ভাত বা রুটি বা লুচি বা পরোটা এরকম শর্করা জাতীয় খাবার আপনি আরো বেশী খেতে পারেন যদি আপনি পর্যাপ্ত ব্যায়াম বা পরিশ্রমের কাজ করতে পারেন। আপনার দেহের শ্রমের সাথে এজাতীয় খাবার সমন্বয় করে কম- বেশী করা যেতে পারে।
তৃতীয়ত আপনার বেশী খাওয়ার প্রবণতা থাকলে পেপে বা চালকুমড়া বা লাউ এরকম সবজির ঝোল বেশী করে রান্না করে পাতে বেশী করে নিয়ে ভাত বা রুটির উপর নির্ভরতা কমাতে পারেন। অথবা খাওয়ার আগে পানি খেতে পারেন অথবা প্রথমে পাতে খুবই পাতলা করে রান্না করা ডাল আগে একবাটি চুমুক দিয়ে খেতে পারেন।
চতুর্থত খাবারের আকাঙ্ক্ষাকে দমাবেন না । প্রয়োজনে বেশী খেয়ে বেশী ব্যায়াম বা কায়িক পরিশ্রম করুন। এক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বন করুন। নিতান্তই খেতে ইচ্ছে করলে কম-ক্যালরি আছে এমন খাবার খান।
পঞ্চমত নাস্তায় ফলমুল খেতে পারেন পর্যাপ্ত অনেক ফল আছে যা ওজন কমাতে সহায়ক।
একজন সুস্থ স্বাভাবিক নারী বা পুরষের কমপক্ষে ১২০০ ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার দরকার। আরেকটি পয়েন্ট- ওজন একবার নিয়ন্ত্রণে এলে সে ওজন ধরে রাখার কৌশল অবলম্বন করবেন। আপনি ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবারগুলো(ভাত বা রুটি বা লুচি বা পরোটা- এছাড়া সবজি বা ফলেও অল্প করে ক্যালরি থাকে) আপনার শারিরীক নড়াচড়া বা ব্যায়াম বা পরিশ্রমের সাথে এডজাস্ট বা সমন্বয় করে নিবেন। এটিই বেশী সহজ ও কার্যকরী। আপনি কিছুিদিন এই ছকটি অনুসরন করলেই ফল পাবেন এবং এটি নিজের মত করে সাজিয়ে নিতে পারবেন। আর কখনও হতাশ হবেন না । গুড লাক। (এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন ডায়েট প্ল্যান আর ডায়েট চার্ট এক জিনিস নয় । একজনের ডায়েট চার্ট আরেকজনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না। তাই এক্সাক্টলি কোন ব্যক্তির একেবারে নিজস্ব ডায়েট প্ল্যান এর প্রয়োজন হলে ডায়েটিশিয়ান এর সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
Source:eisamay.com and royalbangla.com
Labels: DIET, Healthy Food, WIEGHT LOSS